গর্জে ওঠো.....আর শহীদের রঁক্ত দেখতে চাই না । রুখে দাড়াতেই হবেই,....!
লিখেছেন লিখেছেন shaidur rahman siddik ২৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৫৪:৪৮ রাত
আর কত দেখব তোদের খেলা,গর্জে উঠতেই হবেই,সময় হয়েছে গর্জে ওঠার...রুঁখে দারাবার এখনেই সময়।
আজ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারী আমিনুর
রহমান ভাই শাহাদাত বরণ করেছেন।
(ইন্নালিল্লাহ... রাজিউন) এবং
খুলনা মহানগরী সভাপতি ফারাজী ভাই
মারাত্মক গুলিবিদ্ধ সহ আরো বেশ কয়েকজন মারাত্নক ভাবে আহত..!
চমত্কার !!
দেশে বি-শৃংখলা বাড়ানোর জন্য গড়ে প্রতিদিন দুই একটা এই রকম অপারেশন করলেই এ্যঁনাফ....?
ফিরে আসবে দেশে অ-শান্তি,সাম্প্রতিক দাঁঙ্গা,দেশকে নষ্ট করার ও ইসলামি ছাত্রশিবিরকে ধংব্ষ করার চেষ্টা...?
ভাবতেই পারবেন হাসিনা ও হাসিনার বাহিনী,কিন্তু সত্যটা দেখতে পারবেন না ।
না....সাত্যটিও দেখতে পারবেন ?
তবে....তোদের ভাবনায় নয়, দেখতে পারবেন এই বাংলার দাঁমাল ছেলেদের ভাবনার একটুমাত্র চিঁরকুট।
মাওঃ সাইদী সাহেবের রায়কে কেন্দ্র করে শিবিরকে ভয় দেখাচ্ছেন ?
এতদিন দেখেও কি আপনাদের মনের ত্রুটি টুকুর পর্দা খুলল না?
মনে রাখবেন....শিবির পিছু হটাবার কোন দল নয়,
এই দল সামনে এগিয়ে যাওয়ার দল,
এই ছাত্র সংগঠন এমন একটি সংগঠন যা অন্ধকার থেকেও আলো ছড়িয়ে দিতে পারে।
এই দল আল্লামা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর অনুদান,এটা শহীদ আঃ কাঁদের মোল্লার কফিন ছুয়ে শপথ নেওয়ার দল ।
এই দল যদি ভয়েই পেত তাহলে তোমাদের শাহবাগ তৈরী করা লাগত না ।
এই দল ভয় পেলে তোমাদের কে কেউ ঠেকাতে পারত না ।
আর এই দল ভয় পেলে তোমরা আর কারো বুকে গুলি চালাতে পারতে না ।
বদরযুদ্ধের কাহিনী শুধুমাত্র ইতিহাসে পড়েছেন,কিন্তু মনের মাঝে আঁছ করতে পারেন নি ।
এবার যখন তোমরা এই বাংলার মাঠিতে অবৈধত্ব ও মিথ্যা গ্লাঁনির আঁখড়ে উঠতে পেরেছ....
তখন নিচে নামার দায়িত্ব তো আমাদের হাতেই ধাবিত হয় ।
তাই আমাদের সময় হয়েছে এই কাঁলো অধ্যায় থেকে বাংলাদেশ কে ইতিহাসের সাদা পাতায় আনার.....
আর দেখব না কোন শহীদের রক্তের বন্য,
হাসিনা সত্যিই তুই মুজিবের কন্যা ।
নাটক তো তুই শুরুই করেছিস,
আমাদের হাতেই তুই মরবি।
জেঁগে ওঠো হে তরুণ জনতা.,.,...
#সাইদুর
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
@মাজহার১৩ : আপনি লিখেছেন : আর কত রক্ত ঝরলে ধইর্যের বাঁধ ভাঙ্গবে।
**
আমার হিসাবমতে কেবল শুরু হয়েছে- এখনো অ-নে-ক পথ বাকি! বলতে গেলে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলন এতদিন শুধু আঁতুড়ঘরেই সময় কাটিয়েছে- ২০১৩-তে বাইরে এসেছে, হাঁটা-দৌড়ানো-লড়াই-বিজয়.. অনেক দীর্ঘ এ পথ! যাঁরা সহসাই সাফল্য দেখতে উন্মুখ হয়ে আছেন তাঁদের নতুন করে হিসাব কষে নেয়া দরকার!!
**
ঈমানের পথ ফুল বিছানো নয়- অতীতেও যারা ঈমানের দাবী করেছে তাদেরকে পরীক্ষা করা হয়েছে- বর্তমানেও করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। ক্বিয়ামত পর্যন্ত এই পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে। ইতিহাস থেকে প্রমাণিত যে মক্কায় কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে তার উপর যুলম নির্যাতনের পাহাড় ভেঙ্গে পড়তো। ভীষণ ভাবে মারপিট আর কঠোর নির্যাতন করা হতো। যেমনঃ বেলাল (রা) বুকে পাথর চাপা দিয়ে রাখা হতো- এভাবে আরও অনেক সাহাবাকে নির্যাতন করা হয়েছে। দোকানদার-কারিগর হলে রুটি-রুজির পথ বন্ধ করে দেয়া হতো। এমনকি অনাহারে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হতো।
****
তোমরা কি মনে করছো, এমনিতেই তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে? অথচ তোমাদের আগে যারা ঈমান এনেছিল তাদের উপর যা কিছু নেমে এসেছিল এখনও তোমাদের উপর সে সব নেমে আসেনি। তাদের উপর নেমে এসেছিল কষ্ট ক্লেশ ও বিপদ মুসিবত, তাদেরকে প্রকম্পিত করা হয়েছিল। এমনকি সমকালীন রাসূল এবং তাঁর সাথে যারা ঈমান এনেছিল তারা চিতকার করে বলে উঠেছিল, আল্লাহর সাহায্য কবে আসবে? তখন তাদেরকে এই বলে স্বান্ত্বনা দেয়া হয়েছিল, অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য নিকটে- (বাকারা ২১৪)।
আলিফ- লাম মীম। লোকেরা কি মনে করে রেখেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি কেবলমাত্র একথাটুকু বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে আর পরীক্ষা করা হবেনা? অথচ আমি তাদের পূর্ববর্তী সবাইকে পরীক্ষা করে নিয়েছি। আল্লাহ অবশ্যই দেখবেন কে সত্যবাদী এবং কে মিথ্যুক। আর যারা খারাপ কাজ করছে তারা কি মনে করে বসে আছে তারা আমার থেকে এগিয়ে চলে যাবে? বড়ই ভুল সিদ্ধান্ত তারা করেছে। যে কেউ আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করার আশা করে (তারা জানা উচিত) আল্লাহর নির্ধারিত সময় আসবেই। আর আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও জানেন। যে ব্যক্তি প্রচেষ্টা সংগ্রাম করবে সে নিজের ভালর জন্যই করবে। আল্লাহ অবশ্যই বিশ্ববাসীদের প্রতি মুখাপেক্ষীতাহীন। আর যারা ঈমান আনবে এবং সত কাজ করবে তাদের দুষ্কৃতিগুলো আমি তাদের থেকে দূর করে দিব এবং তাদেরকে তাদের সর্বোত্তম কাজগুলোর প্রতিদান দেবো- ( আনকাবুত ১-৭ )।
হযরত খাব্বাব ইবন আরাত সে অবস্থার বিবরণ দিয়ে একটি হাদীস বলেন যে রাসূলে কারীম (সা) একবার কাবাঘরের ছায়ায় বসে আছেন, সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি বললেন হে আল্লাহর রাসূল আপনি কি আমাদের জন্য দোয়া করেননা। একথা শুনে তাঁর চেহারা রক্তিমবর্ণ হয়ে গেছে এবং বললেন তোমাদের পূর্বে যেসব মু’মিনগণ অতিক্রম হয়েছে তারা এর চেয়ে বেশী নিগৃহীত হয়েছে। তাদের কাউকে মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে বসিয়ে দেয়া হতো। তারপর মাথার উপর করাত চালিয়ে দ্বিখন্ড করা হতো। কারো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ লোহার চিরুনী দ্বারা আঁচড়ানো হতো যাতে তারা ঈমান প্রত্যাহার করে।
***
ঈমানদারদের প্রতি যুলম নির্যাতন কোন নতুন ব্যাপার নয়- অতীতে যারাই ঈমানের দাবী করেছে তাদের সকলকেই পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এ পরীক্ষা হচ্ছে আমরা ঈমানের দাবীতে কতটুকু খাঁটি তা যাছাই করার জন্য। পরীক্ষা ছাড়া কেউ এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে যেতে পারেনা। ঈমানের পরীক্ষা ছাড়া আমরা জান্নাতে যেতে পারবোনা। ঈমানের অগ্নি পরীক্ষার মাধ্যমেই মানুষের অবস্থা যাছাই করেন- আল্লাহ বলেনঃ
আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো, যাতে তোমাদের অবস্থা যাচাই করে নিতে পারি এবং দেখে নিতে পারি যে, তোমাদের মধ্যে কারা মুজাহিদ ও ধৈর্যশীল- (মুহাম্মদ ৩১)।
অতীতে প্রত্যেক যুগেই ঈমানদারেরা নানা পরীক্ষার সন্মুখীন হয়েছে। কিন্তু ঈমানদারগণ সর্বদা বিপদ মুসীবত স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করে থাকেন।
এই প্রসঙ্গে কুরআনে ইরশাদ হচ্ছেঃ
তোমাদের উপর এ সময়টা এ জন্য আনা হয়েছে যে, আল্লাহ দেখে নিতে চেয়েছিলেন যে, তোমাদের মধ্যে সাচ্চা মু’মিন কারা এবং তিনি কি তোমাদের মধ্য থেকে ঐ লোকদেরকে বাছাই করে নিতে চেয়েছিলেন, যারা আসলেই (সত্যের) সাক্ষী। কেননা যালিমদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। আর তিনি এ পরীক্ষার মাধ্যমে মু’মিনদেরকে আলাদা করে নিয়ে কাফিরদেরকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন (আল ইমরান ১৪১)।
মন্তব্য করতে লগইন করুন